সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

ইরানে ইসরায়েলপন্থী গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে আরও তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

১২ দিনের সংঘাতে গ্রেফতার বেড়ে ৭০০ ছাড়াল

প্রতিবেদন:
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানে আরও তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির বিচার বিভাগ-ঘনিষ্ঠ বার্তা সংস্থা মিজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফাঁসিপ্রাপ্তদের নাম—ইদ্রিস আলী, আজাদ শোজাই ও রাসুল আহমদ রাসুল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন এবং ইরানের অভ্যন্তরে হত্যাকাণ্ড সংগঠনের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাচারের চেষ্টা করেছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য ও নজরদারির মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে আটক করা হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।

৭০০ গ্রেফতার: আরও বিস্তৃত দমন অভিযান

রাষ্ট্রীয় ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানায়, ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান চালিয়ে আরও ৭০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, নাশকতামূলক তৎপরতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈরী প্রচারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিশেষ করে কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফার্স ও লোরেস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয়ভাবে এই দমন অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও অভিযানে গতি

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও পাল্টা হামলার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। উভয় পক্ষই এতে সম্মতি জানিয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতির পরও ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সরকার বলছে, ভেতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রোধ করাই এখন প্রধান অগ্রাধিকার।

বিশ্লেষকদের উদ্বেগ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈরিতা এবার সরাসরি সংঘাতে রূপ নেওয়ার পর ইরান দেশের ভেতরকার সম্ভাব্য সব বিদ্রোহী ও গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ধ্বংসে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

তবে মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর পদক্ষেপ ও গণগ্রেফতার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে পড়েছে। ইতিমধ্যে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইরানে ইসরায়েলপন্থী গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে আরও তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০১:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

১২ দিনের সংঘাতে গ্রেফতার বেড়ে ৭০০ ছাড়াল

প্রতিবেদন:
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানে আরও তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির বিচার বিভাগ-ঘনিষ্ঠ বার্তা সংস্থা মিজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফাঁসিপ্রাপ্তদের নাম—ইদ্রিস আলী, আজাদ শোজাই ও রাসুল আহমদ রাসুল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন এবং ইরানের অভ্যন্তরে হত্যাকাণ্ড সংগঠনের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাচারের চেষ্টা করেছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য ও নজরদারির মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে আটক করা হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।

৭০০ গ্রেফতার: আরও বিস্তৃত দমন অভিযান

রাষ্ট্রীয় ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানায়, ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান চালিয়ে আরও ৭০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, নাশকতামূলক তৎপরতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈরী প্রচারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিশেষ করে কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফার্স ও লোরেস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয়ভাবে এই দমন অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও অভিযানে গতি

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও পাল্টা হামলার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। উভয় পক্ষই এতে সম্মতি জানিয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতির পরও ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সরকার বলছে, ভেতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রোধ করাই এখন প্রধান অগ্রাধিকার।

বিশ্লেষকদের উদ্বেগ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈরিতা এবার সরাসরি সংঘাতে রূপ নেওয়ার পর ইরান দেশের ভেতরকার সম্ভাব্য সব বিদ্রোহী ও গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ধ্বংসে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

তবে মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর পদক্ষেপ ও গণগ্রেফতার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে পড়েছে। ইতিমধ্যে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।