পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ(দলিল বোঝার জন্য এক অমূল্য সংগ্রহ)

- আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত অনেক শব্দের রয়েছে সংক্ষিপ্ত রূপ এবং কিছু শব্দ আজকাল খুব কম ব্যবহৃত হয়। এসব শব্দ না জানলে দলিল বুঝতে সমস্যা হতে পারে। যারা দলিল নিয়ে কাজ করেন বা আগ্রহী, তাদের জন্য নিচে ১৩০টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দের তালিকা ও অর্থ তুলে ধরা হলো:
১-৫০: মৌলিক ও সাধারণ ব্যবহৃত শব্দ
১) মৌজা – গ্রাম
২) জে.এল. নং – মৌজা/গ্রামের নম্বর
৩) ফর্দ – দলিলের পাতা
৪) খং – খতিয়ান
৫) সাবেক – আগের/পূর্বের
৬) হাল – বর্তমান
৭) বং – বাহক
৮) নিং – নিরক্ষর
৯) গং – অন্যান্য অংশীদার
১০) সাং – সাকিন/গ্রাম
১১) তঞ্চকতা – প্রতারণা
১২) সনাক্তকারী – বিক্রেতাকে চিনেন এমন ব্যক্তি
১৩) এজমালি – যৌথ
১৪) মুসাবিদা – দলিল লেখক
১৫) পর্চা – প্রাথমিক খতিয়ানের নকল
১৬) বাস্তু – বসতভিটা
১৭) বাটোয়ারা – সম্পত্তির বণ্টন
১৮) বায়া – বিক্রেতা
১৯) মং – মোট
২০) মবলক – মোট পরিমাণ
২১) এওয়াজ – সমমূল্যের বিনিময়
২২) হিস্যা – অংশ
২৩) একুনে – যোগফল
২৪) জরিপ – ভূমি পরিমাপ
২৫) চৌহদ্দি – সীমানা
২৬) সিট – মানচিত্রের অংশ
২৭) দাখিলা – খাজনার রশিদ
২৮) নক্সা – মানচিত্র
২৯) পিং – পিতা
৩০) জং – স্বামী
৩১) দাগ নং – জমির নম্বর
৩২) স্বজ্ঞানে – নিজের জ্ঞানের ভিত্তিতে
৩৩) সমুদয় – সব কিছু
৩৪) ইয়াদিকৃত – পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু
৩৫) পত্র মিদং – পত্রের মাধ্যমে
৩৬) বিং – বিস্তারিত
৩৭) দং – দখলকারী
৩৮) পত্তন – সাময়িক বন্দোবস্ত
৩৯) বদলসূত্র – জমি বিনিময়
৪০) মৌকুফ – মাফকৃত
৪১) দিশারী রেখা – দিকনির্দেশক রেখা
৪২) হেবা বিল এওয়াজ – বিনিময়সূত্রে জমি দান
৪৩) বাটা দাগ – বিভক্ত দাগ
৪৪) অধুনা – বর্তমান
৪৫) রোক – নগদ অর্থ
৪৬) ভায়া – বিক্রেতার পূর্বের দলিল
৪৭) দানসূত্র – দানকৃত সম্পত্তি
৪৮) দাখিল-খারিজ – মালিকানা পরিবর্তন
৪৯) তফসিল – সম্পত্তির বিবরণ
৫০) খারিজ – পৃথক খাজনা অনুমোদন
৫১-১০০: অধিকতর বিশেষায়িত ও আইনি পরিভাষা
৫১) খতিয়ান – ভূমির রেকর্ড
৫২) এওয়াজসূত্র – বিনিময় সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি
৫৩) অছিয়তনামা – উইল/মৃত্যুকালীন নির্দেশ
৫৪) নামজারি – মালিকানা হস্তান্তরের রেকর্ড
৫৫) অধীনস্থ স্বত্ব – নিম্নস্তরের মালিকানা
৫৬) আলামত – মানচিত্রে চিহ্ন
৫৭) আমলনামা – দখলের দলিল
৫৮) আসলি – মূল ভূমি
৫৯) আধি – ফসলের অর্ধেক ভাগ
৬০) ইজারা – নির্দিষ্ট খাজনায় সাময়িক বন্দোবস্ত
৬১) ইন্তেহার – ঘোষণাপত্র
৬২) এস্টেট – জমিদারি সম্পত্তি
৬৩) ওয়াকফ – ধর্মীয় কাজে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি
৬৪) কিত্তা – ভূমিখণ্ড
৬৫) কিস্তোয়ার জরিপ – কিত্তা ধরে ভূমি পরিমাপ
৬৬) কায়েম স্বত্ব – চিরস্থায়ী মালিকানা
৬৭) কবুলিয়ত – স্বীকারোক্তি দলিল
৬৮) কান্দা – উচ্চভূমি
৬৯) কিসমত – ভূমির অংশ
৭০) খামার – নিজস্ব দখলীয় ভূমি
৭১) খিরাজ – খাজনা
৭২) খসড়া – প্রাথমিক রেকর্ড
৭৩) গর বন্দোবস্তি – বন্দোবস্তবিহীন জমি
৭৪) গির্ব – বন্ধক
৭৫) জবরদখল – জোরপূর্বক দখল
৭৬) জোত – প্রজাস্বত্ব
৭৭) টেক – নদীর পলি জমে সৃষ্টি ভূমি
৭৮) ঢোল সহরত – ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা
৭৯) তহশিল – রাজস্ব এলাকা
৮০) তামাদি – নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত
৮১) তফসিল – সম্পত্তির বিবরণ
৮২) নামজারি – মালিকানা হস্তান্তর
৮৩) নথি – রেকর্ড
৮৪) দেবোত্তর – দেবতার নামে উৎসর্গকৃত
৮৫) দখলী স্বত্ব – দখলের ভিত্তিতে মালিকানা
৮৬) দশসালা বন্দোবস্ত – দশ বছরের বন্দোবস্ত
৮৭) দাগ নম্বর – জমির ক্রমিক নম্বর
৮৮) দরবস্ত – সব কিছু
৮৯) দিঘলি – নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানকারী
৯০) নক্সা ভাওড়ন – পূর্ব জরিপের মানচিত্র
৯১) নাম খারিজ – পৃথককরণ
৯২) তুদাবন্দি – সীমানা নির্ধারণ
৯৩) তরমিম – সংশোধন
৯৪) তৌজি – চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেকর্ড
৯৫) দিয়ারা – নদীর পলিতে গঠিত চর
৯৬) ট্রাভার্স – জরিপের রেখা পরিমাপ
৯৭) খাইখন্দক – জলাশয় বা গর্তযুক্ত ভূমি
৯৮) চর – নদীর পলি জমে গঠিত ভূমি
৯৯) চৌহদ্দি – সম্পত্তির সীমানা
১০০) খাস – সরকারি মালিকানাধীন জমি
শেষ কথা:
এই শব্দগুলোর অর্থ জানলে আপনি যেকোনো পুরাতন দলিল আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। দলিল বিশ্লেষণের সময় কিংবা আইনি প্রক্রিয়ায় এটি হতে পারে আপনার হাতে থাকা এক অমূল্য সহায়ক উপকরণ।
তাই এখনই সেভ করে রাখুন — ভবিষ্যতে কাজে দারুণ লাগবে।