সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

মানবিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি: সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান সরকার

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ-১ আসন (ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলা) নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান সরকার। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই তরুণ নেতা রাজনীতির মঞ্চে একজন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

মাহবুবুর রহমান সরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হন ছাত্রজীবনে। জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এবং যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের ত্যাগী কর্মী হিসেবেও পরিচিত।

২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গ্রেফতার হলে, প্রতিবাদে রাজপথে নেমে দলের প্রতি নিজের আস্থা ও ভালোবাসার পরিচয় দেন মাহবুবুর। এরপর ২০০৯ সাল থেকে বিএনপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সর্বশেষ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানেও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান।

অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মননচর্চার প্রতীক

৫ আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি চার উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা-উৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করেছেন। দুর্গাপূজার সময় প্রতিটি মন্দির পরিদর্শন ও যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয়দের মাঝে তার মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

জনসেবার প্রতিশ্রুতি

একান্ত সাক্ষাৎকারে মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন,

“স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চল অবহেলিতই রয়ে গেছে। যারা এমপি হয়েছেন তারা নিজের ভাগ্য গড়েছেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা ভাবেননি।”

তিনি আরও বলেন,

“ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি। শৈশব-কৈশোর সব কিছু দলের জন্য উৎসর্গ করেছি। আজও আমি দলের নির্দেশে প্রস্তুত দেশের যেকোনো প্রান্তে মানুষের সেবা করতে।”

নেতা নয়, একজন কর্মী হতে চান

প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রশ্নে মাহবুবুর রহমান বলেন,

“এই অঞ্চলের মানুষ কী চায়, সেটাই আসল। আমি শাসক হতে চাই না, সেবক হতে চাই। গায়ে মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে—এই জনপদের সন্তান হিসেবে আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমার নেতা তারেক রহমান আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলবেন, আমি সেভাবেই প্রস্তুত। ধানের শীষের সৈনিক হিসেবে আমি সবসময় রাজপথে থাকবো।”

জনগণের ভালোবাসার মানুষ

স্থানীয়দের মতে, মাহবুবুর রহমান সরকার একজন সৎ, পরিশ্রমী ও দৃঢ়চেতা তরুণ নেতা। তার পিতার মতোই তিনি মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। একজন তরুণ, মেধাবী এবং সদা হাস্যোজ্জ্বল নেতা হিসেবে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। স্থানীয়দের আশা—মনোনয়ন পেলে মাহবুবুর এই অঞ্চলকে বঞ্চনার গ্লানি থেকে মুক্ত করে একটি মানবিক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে সক্ষম হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানবিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি: সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান সরকার

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জ-১ আসন (ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলা) নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান সরকার। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই তরুণ নেতা রাজনীতির মঞ্চে একজন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

মাহবুবুর রহমান সরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হন ছাত্রজীবনে। জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এবং যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের ত্যাগী কর্মী হিসেবেও পরিচিত।

২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গ্রেফতার হলে, প্রতিবাদে রাজপথে নেমে দলের প্রতি নিজের আস্থা ও ভালোবাসার পরিচয় দেন মাহবুবুর। এরপর ২০০৯ সাল থেকে বিএনপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সর্বশেষ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানেও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান।

অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মননচর্চার প্রতীক

৫ আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি চার উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা-উৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করেছেন। দুর্গাপূজার সময় প্রতিটি মন্দির পরিদর্শন ও যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয়দের মাঝে তার মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

জনসেবার প্রতিশ্রুতি

একান্ত সাক্ষাৎকারে মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন,

“স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চল অবহেলিতই রয়ে গেছে। যারা এমপি হয়েছেন তারা নিজের ভাগ্য গড়েছেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা ভাবেননি।”

তিনি আরও বলেন,

“ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি। শৈশব-কৈশোর সব কিছু দলের জন্য উৎসর্গ করেছি। আজও আমি দলের নির্দেশে প্রস্তুত দেশের যেকোনো প্রান্তে মানুষের সেবা করতে।”

নেতা নয়, একজন কর্মী হতে চান

প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রশ্নে মাহবুবুর রহমান বলেন,

“এই অঞ্চলের মানুষ কী চায়, সেটাই আসল। আমি শাসক হতে চাই না, সেবক হতে চাই। গায়ে মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে—এই জনপদের সন্তান হিসেবে আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমার নেতা তারেক রহমান আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলবেন, আমি সেভাবেই প্রস্তুত। ধানের শীষের সৈনিক হিসেবে আমি সবসময় রাজপথে থাকবো।”

জনগণের ভালোবাসার মানুষ

স্থানীয়দের মতে, মাহবুবুর রহমান সরকার একজন সৎ, পরিশ্রমী ও দৃঢ়চেতা তরুণ নেতা। তার পিতার মতোই তিনি মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। একজন তরুণ, মেধাবী এবং সদা হাস্যোজ্জ্বল নেতা হিসেবে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। স্থানীয়দের আশা—মনোনয়ন পেলে মাহবুবুর এই অঞ্চলকে বঞ্চনার গ্লানি থেকে মুক্ত করে একটি মানবিক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে সক্ষম হবেন।