সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

উলিপুরে উগ্রবাদ প্রতিরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে


সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সমসাময়িক সামাজিক সমস্যার সমাধানে ইসলামের ভূমিকা শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায়।

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন উলিপুর শাখার আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন।

আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইমাম, খতিব, আলেম-ওলামা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তি, সহনশীলতা ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।

প্রধান অতিথি ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, “ইসলামের মূল বাণী শান্তি ও মানবিকতা। ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও নয়ন কুমার সাহা বলেন, “উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি আলেম-ওলামাদের জ্ঞানভিত্তিক দিকনির্দেশনা সমাজে স্থিতিশীলতা আনতে পারে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।”

সভায় অংশগ্রহণকারীরা গুজব, অপপ্রচার, ধর্মীয় বিভাজন ও উগ্রবাদ রোধে ইসলামিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আয়োজকরা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উলিপুরে উগ্রবাদ প্রতিরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা

আপডেট সময় : ০১:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫


সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সমসাময়িক সামাজিক সমস্যার সমাধানে ইসলামের ভূমিকা শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায়।

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন উলিপুর শাখার আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন।

আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইমাম, খতিব, আলেম-ওলামা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তি, সহনশীলতা ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।

প্রধান অতিথি ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, “ইসলামের মূল বাণী শান্তি ও মানবিকতা। ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও নয়ন কুমার সাহা বলেন, “উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি আলেম-ওলামাদের জ্ঞানভিত্তিক দিকনির্দেশনা সমাজে স্থিতিশীলতা আনতে পারে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।”

সভায় অংশগ্রহণকারীরা গুজব, অপপ্রচার, ধর্মীয় বিভাজন ও উগ্রবাদ রোধে ইসলামিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আয়োজকরা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।